বিবর্তন নিয়ে আমাদের মাঝে অনেক ভুল ধারণা থাকে। অনেক সময় আমরা এর সম্পর্কে না জেনেই একটা উপসংহারে চলে যাই। বিবর্তন ১০১ (কিউ অ্যান্ড এ পর্ব ১ ) – এ ব্লগে বিবর্তন সম্পর্কে বেসিক ভুল ধারণা ও কিছু কমন প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়েছে। দ্বিতীয় পর্বে একটু জটিল প্রশ্ন-উত্তর থাকায় প্রথম পর্বটি আগে পড়ে নিলে ভাল হয়।
ব্লগটিকে আমার মূল ইচ্ছা ছিল ব্লগার ভাইয়ের সহযোগিতায় আরও কিছু কনফিউশনগুলো সামনে নিয়ে আসা ও সেগুলো ব্লগে আলোচনা করা। সৌভাগ্যবশত ব্লগের কমেন্টে অনেকগুলো প্রশ্ন আমি পেয়েছি। সবার কমেন্ট পড়ার সময় হয়ে উঠে না। তাই সেই উত্তরগুলো নিয়ে সুগঠিতভাবে দ্বিতীয় পর্বটি পাবলিশ করলাম। তাছাড়া আরও কিছু জিনিস যা মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা কাজ করে সেটাও ব্লগে লেখার চেষ্টা করবো। এরপরও আমি আশা রাখি প্রশ্ন থাকবে, মানুষ প্রশ্ন করবে। কারণ প্রশ্ন করে, যাচাই করে সঠিক ও পরীক্ষিত জিনিসই সত্য হিসেবে মানাই আসলে জ্ঞানী মানুষের বৈশিষ্ট্য।
২১। পৃথিবীর প্রথম প্রাণ যদি জলে হয়ে থাকে। তবে জলের প্রাণীর তো ফুলকা থাকে, তাদের তো আর ফুসফুস নেই। কীভাবে জলের প্রাণী স্থলে এসেছিল?
ফসিল প্রমাণ যে জলের প্রাণীর স্থলে আসার প্রথম প্রমাণ পায় না আদি যুগের লাংফিশ (protopterus annectens) এর মত এক ধরনের প্রাণী। এদের ফুলকাও ছিল, আবার ফুসফুসও ছিল। পানিতে তারা ফুসফুসকে মুলত ব্যবহার করতো বাতাস ব্যবহার করে পানিতে কম্পন তৈরি করতে। তাদের আকৃতিও ছিল চারপায়ী প্রাণীদের খুব কাছাকাছি। (উল্লেখ্য যে, এই প্রাণ সকল Tetrapads এর সাধারণ পূর্বপুরুষ)। তাদের কংকালের ফসিল থেকে বুঝা যায় তাদের ফুসফুস খুব ছোট ছিল। মানে তারা খুব বেশি সময় স্থলে থাকতে পারতো না। পরে কোটি কোটি লেগেছে লাংফিশ এর জল থেকে সম্পূর্ণ স্থলে বাস করা যোগ্য প্রজাতিতে বিবর্তিত হতে।
২২। আমরা কিন্তু কোনোভাবেই প্রক্রিয়াটিকে পর্যবেক্ষণ করতে পারছি না। বিজ্ঞান তো পর্যবেক্ষণ ছাড়া কোনো কথা গ্রহণ করে না। তাহলে কীভাবে বিবর্তনকে সায়েন্টিফিক ফ্যাক্ট বলতে পারি?
বিবর্তন প্রকৃতি ও গবেষণাগার – দুই জায়গাতেই পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। বিবর্তন খুবই ধীরগতির প্রক্রিয়া। মানুষের এইপ (Ape) প্রজাতি থেকে বিবর্তিত হতে মিলিয়ন মিলিয়ন বছর সময় লেগেছে। বেশ কিছু ক্ষুদ্র প্রাণের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষণ করে বিবর্তনের চাক্ষুষ প্রমাণ পেয়েছে । এছাড়া বিভিন্ন প্রজাতির পাখির বিবর্তন প্রকৃতিতে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, সেখানেও বিবর্তনের প্রমাণ মিলেছে। তাছাড়া প্রায় ১২টি ভিন্ন প্রক্রিয়া যেটা দিয়ে বিবর্তন সঠিক কিনা যাচাই করা হয়, সেই পরীক্ষণগুলোর সত্যতা ও নির্ভুলতা পরীক্ষা করা হয়েছে পর্যবেক্ষণ দিয়েই। আর সেই পদ্ধতি দিয়েই বিবর্তনকে যাচাই করা হয়। এই সবগুলো প্রিমিসেসই সাপোর্ট করে বিবর্তন ফ্যাক্ট।
২৩। এমন কোন প্রমাণ আছে যেখানে বোঝা যায় একটা প্রজাতি অন্য প্রজাতিতে পরিণত হয়েছে (পর্যবেক্ষণ সহ)?
হ্যাঁ, অবশ্যই। Artificial Section বা কৃত্রিম নির্বাচনের মাধ্যমে যেই প্রাণীগুলো বিবর্তিত হয়েছে তাদের নমুনা পরীক্ষা করে জীববিজ্ঞানীরা পরীক্ষার মাধ্যমে এক প্রজাতি থেকে অন্য প্রজাতিতে বিবর্তিত হবার প্রমাণ পেয়েছেন। বিভিন্ন প্রজাতির গবাদি পশু, শস্য। এই সব অধিকাংশই বিগত মাত্র কয়েক শতাব্দী আগেও ছিল না।
২৪। যদি কোনো পর্যবেক্ষণ না থাকে তবে বিজ্ঞান একে ‘বিশ্বাস’ বলে। বিবর্তনের কোনো পর্যবেক্ষণ যদি না থাকে তবে এটাকে কি এক ধরনের ‘বিশ্বাস’ বলা যাবে?
বিজ্ঞান বিশ্বাস নিয়ে কাজ করে না। পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষণও যাচাই নিয়ে কাজ করে। প্রশ্নকর্তার দেয়া সংজ্ঞার মতে “পর্যবেক্ষণ না থাকলে সেটা যদি ‘বিশ্বাস’ হয়”, তাহলে বিবর্তনকে বিশ্বাস বলা যাবে না। কারণ, বিবর্তনের একাধিক শাখায় অনেক প্রজাতির প্রাণের বিবর্তন পরীক্ষার ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষণ বা অবজারভেশন করা হয়েছে।
আর অক্সফোর্ড ডিকশনারির মতে “বিশ্বাস” হচ্ছে কোনো কিছু সঠিক মনে করা, প্রমাণসহ অথবা ছাড়া। সেই হিসেবে দেখলে বিবর্তন বিশ্বাস। কেননা প্রায় ১২টি ভিন্ন স্বতন্ত্র পরীক্ষা বিবর্তন সমর্থন করে। সেই প্রমাণের ভিত্তিতে একে সত্য মনে করা “প্রমাণসহ বিশ্বাস”।
২৫। লুই পাস্তুর প্রমাণ করেন জড় থেকে প্রাণের স্বতঃস্ফূর্ত সূচনা সম্ভব নয়। তাহলে প্রথম প্রাণ কিভাবে আসলো ?
লুই পাস্তুর তার ল্যাব এ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে যেটা বের করেছেন সেটা একদিনে যেমন বিবর্তনকে সমর্থন করে অন্যদিকে প্রথম প্রানের ব্যাপারটা সমর্থন করে না। সেই সময় মানুষ মনে করতো প্রায় ৬০০০ বছর আগে অলৌকিকভাবে সব প্রান ও প্রজাতি শুরু হয়েছিল যাকে বলা হত “Spontaneous Generation” , তার এই পরীক্ষা সেই বিশ্বাসকে ভুল প্রমাণ করে, যেটা বিবর্তনবাদকে সমর্থন করে। অন্যদিকে প্রথম প্রাণের স্বতঃস্ফূর্ত অস্তিত্বময় হওয়া তার প্রমাণের বিরোধী। উনি Swan-Neck Flask এর মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়ার উপর নির্ভর করে এই উপসংহারে আসেন।
পৃথিবীর প্রথম প্রাণ ৩.৪ বিলিয়ন বছরের মধ্যে সবচেয়ে সরলতম প্রাণ ছিল। ক্লাসিক্যাল ফিজিক্সকে যেমন কোয়ান্টাম ফিজিক্স এর সাথে তুলনা করলে চলবে না, ঠিক তেমনই প্রথম প্রাণও নিপাতনে সিদ্ধ নিয়ম থেকেই এসেছে।
বিজ্ঞানীদের ধারণা Abiogenesis এর মাধ্যমে সেটা হয়েছে। ইত মধ্যে ক্রেগ ভ্যানটার ল্যাবে Abiogenesis এর সত্যতার প্রমাণ পেয়েছেন। উল্লেখ্য যে, এটা এখনো হাইপোথেসিস। আশা করি, নিকট ভবিষ্যতে আমরা সমৃদ্ধ একটি থিউরি পাব।
২৬। প্রায় ৫ শতাধিক বিজ্ঞানী ইভোলিউশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন । এরপর আমরা কিভাবে বিবর্তনকে ফ্যাক্ট বলতে পারি ?
Answers in Genesis নামের একটি অলাভজনক খ্রিস্টান রিসার্চ ফাউন্ডেশন একটি স্বাক্ষরনামা প্রকাশ করেন যেখানে প্রায় ৫০০ জনের মত বিজ্ঞানী বিবর্তনে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। এই ইস্যুকে দেখিয়ে অনেকেই বলেন “বিজ্ঞানীদের মধ্যে বিবর্তন নিয়ে মতবিরোধিতা আছে। যেখানে আমরা কিভাবে এটাকে ফ্যাক্ট বলতে পারি।
প্রথমত এটা আমরা সবাই বুঝি, বিজ্ঞান কোন গণতন্ত্র নয়। এখানে পর্যবেক্ষণ, অনুসন্ধান ও পরীক্ষণ থেকে প্রাপ্ত ফলাফলই নির্ধারণ করে কোনো কিছু ফ্যাক্ট নাকি হাইপোথেসিস নাকি ভুল। যারা যারা বিবর্তনবাদকে সমর্থন করেন না, তারা এর কাউন্টার কোনো প্রমাণনির্ভর থিউরি প্রদর্শন করেননি। সেটা সবই ছিল তাদের বিশ্বাসের ব্যাপার। আর ব্যাক্তিগত বিশ্বাস বিজ্ঞানকে প্রভাবিত করে না। এরপরও আমাদের উচিত যে কোনো ব্যাপারে সন্দেহ রাখা, এমনকি বিবর্তনের ব্যাপারেও। কারণ, এটাই সঠিককে টিকিয়ে রাখে আর ভুলকে ত্যাগ করতে শিখায়।
একটা মজার ব্যাপার শেয়ার করি, Answers in Genesis এর সেই ৫০০ জনের লিস্টের পর সাইন্টেফিক এমেরিকা বিবর্তনকে সমর্থন করে এমন বিজ্ঞানীদের লিস্ট বের করে। কিন্তু ওরা ঠিক করলো, সমগ্র সাইন্স কমিউনিটি না করে বরং শুধু “স্টিভ” নামের বিজ্ঞানীদের স্বাক্ষর নেই। যেটা কিনা মার্কিন বিজ্ঞানীদের মাত্র ১% এর কাছাকাছি। শুধু “স্টিভ” নামেরই ২০০ জনের উপর বিবর্তন সাপোর্ট করেন।
২৭। রক্তখেকো প্রাণীগুলোর আকৃতি মানুষের তুলনায় ছোট ছোট ( মশা, জোক প্রভৃতি )। প্রকৃতিতে এগুলোর অস্তিত্ব সুদৃঢ় করতে এরা কেন ঈগলের মত বড় আকৃতিতে বিবর্তিত হলো না ?
বিবর্তন কোনো উদ্দেশ্য সাধন করার জন্য হয়না। বরং সেই জেনেটিক ইনফোই টিকে থাকে যেটা পরিবেশে বেশি খাপ খেতে পারে। মশা না জোঁক বা অন্য প্রাণী যেটা আমরা ভাবছি অন্যরকম হলে হয়তো তারা পরিবেশে আরও ভাল খাপ খেতো আসলে সেই মিউটেশন তারা পায়নি বা সেটা ন্যাচারাল সিলেকশনে টিকেনি। নিচের ভিডিওটি দেখলে আশা করি ভুল ধারণাটি চলে যাবে।
কোনো প্রাণীর অস্তিত্ব সুদৃঢ় করার জন্য তার আকারই সহায় নয়। tardigrade এর কথা চিন্তা করি। এরা পানির ফোটা থেকেও ছোটো, অথচ অথচ পৃথিবীর মহাবিপর্যয়গুলোতে তাদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যায়নি।
বায়োলজিস্টদের কাছে এই প্রাণী এতই বিখ্যাত যে কমিক্সেও এরা জায়গা করে নিয়েছে
২৮। বানর থেকে যদি মানুষের উৎপত্তি হয়ে থাকে , তাহলে আমরা গহীন অরণ্যের আর কোনো বানরকে বিবর্তিত হয়ে লেজ খসে মানুষে রূপান্তরিত হতে দেখি না কেন ?
এই প্রশ্ন শুনতে শুনতে আমরা ক্লান্ত! প্রথমত, আমরা বানর থেকে আসিনি। বানর ও মানুষ উভয়ই কমন পূর্বপুরুষ থেকে ভিন্নভাবে বিবর্তিত হয়েছে। আর দ্বিতীয়ত, হোমিনিডদের মধ্যে রাতারাতি লেজের বিলুপ্তি হয়নি। সেটা ঘটেছে প্রায় ৮-১০ মিলিয়ন বছরের ক্রমশ ধারায় যেখানে মানুষের প্রথম সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া যায় মাত্র কয়েক হাজার বছর আগে। উল্লেখ্য যে, আমাদের এনাটমিতে টেইল বোন (লেজের হাড়) প্রমাণ করে যে আমাদের পূর্বপুরুষের লেজ ছিল।
২৯। বিবর্তনের ফসিল প্রমাণের মাঝে অনেক মিসিং লিঙ্ক আছে। এমন কি হতে পারে যা ফসিল পাওয়া গিয়েছে সব অন্য প্রজাতির বানরের। মানুষের না ?
মিসিং লিঙ্ক বলতে আসলে কি বুঝানো হচ্ছে, সেটা আসলে আগে জানা দরকার। ফসিল প্রমাণ সেটারই পাওয়া যায় যেটা প্রকৃতিতে একেবারে মিশে যায়নি। ধরুন, আজ থেকে এক লক্ষ বছর পর মানুষ আপনার ফসিল প্রমাণ পেল, আর আপনার দাদার ফসিল প্রমাণ পেল। দুইজনের সবকিছু পরীক্ষা করে দেখা গেল আপনি ও আপনার দাদা সম্পৃক্ত। এখন আপনার বাবার ফসিল হয়নি, তার সবকিছু মাটির সাথে মিশে গিয়েছে। অবশই এখানে মিসিং লিংক আছে। তার মানে নেই না যে সম্পৃক্ততা ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
একটা সময় ছিল আজ থেকে প্রায় দেড় শত বছর আগে যখন প্রাণীর আকার, খাদ্যঅভ্যাস, প্রজনন আর ফসিল প্রমাণ দেখে ধারনা করা হত কোন প্রাণীর সাথে কোনটি সম্পৃক্ত। ডিএনএ এর তুলনা করার পরীক্ষা আসার পর এখন আমরা শক্তভাবে লক্ষ কোটি বছরে বিচ্ছিন্ন হওয়া প্রাণীর সাথেও আমাদের সম্পৃক্তটা জানতে পেরেছি।
৩০। মানুষের মধ্যে যে বুদ্ধিমত্তা আছে সেটা অন্যপ্রাণীদের মধ্যে নেই। এটা কি প্রমাণ করে না যে আমরা বিবর্তন থেকে আসিনি?
না। বরং বিবর্তনই আমাদের বুদ্ধিমত্তাকে বিকশিত করতে সাহায্য করেছে। হমিনিডদের মাথার খুলি তুলনামুলক বড় ছিল। লক্ষ লক্ষ বছরের বিবর্তনের পর আমাদের মগজ আমাদের শরীরের অনুপাতে অনেক বড় আকার পায়। সেটা হমিনিডদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম বিকাশ লাভ করে। সেই হমিনিডই টিকে থাকতে পেরেছিল তার সুক্ষবুদ্ধিমত্তা ছিল। ফলে সেই জেনেটিক ইনফো চলেই এসেছে। আমাদের আগের প্রজাতির মধ্যেও আমরা বুদ্ধিমত্তার ছোঁয়া পাই। homo habilis কে আমরা হেন্ডিম্যান বলি। কারণ, সেই সময় তারা ধারালো হাতিয়ার ব্যবহার করা বুঝেছিল। ধীরে ধীরে আমরা আগুন আবিষ্কার করি।
একতাবদ্ধ থাকা ও কমপ্লেক্স আবেগ অন্যদের বুঝানোর জন্য আমাদের বিচিত্র শব্দ তৈরি করা দরকার ছিল। যে সঠিকভাবে যোগাযোগ করতে পারতো সে একসাথে টিকতে পারতো, দলে শিকার করতে পারতো, বাচার সম্ভাবনা বেশি ছিল। এইভাবে উন্নত স্বরযন্ত্রওয়ালারা পরবর্তী প্রজন্মে জেনেটিক তথ্য প্রেরণ করার সুযোগ পায় ও আমরা ধীরে ধীরে উন্নত বাকক্ষমতা পাই।
ফসিলগুলোতে আমরা স্বরযন্ত্র ও অন্যান্য অঙ্গগুলোর অবস্থার প্রমাণ পাই। তাছাড়া homo habilis এর ব্যবহৃত হাতিয়ারও আমরা আফ্রিকার অনেক গুহার মধ্যে সন্ধান পেয়েছি। এই সবই বিবর্তনের মাধ্যমে বুদ্ধিমত্তা প্রাপ্তিকেই প্রমাণ করে।
৩০। আর কোন প্রাণীর মধ্যে কি বুদ্ধিমত্তা আছে ? তাদের মধ্যে কি ভাষা আছে? কেননা আমরা তাদের বোবা জাত বলে থাকি!
মানুষ ছাড়া আরও বেশ কিছু প্রানির মধ্যে বুদ্ধিমত্তার প্রমাণ পাওয়া যায়। যেহেতু তারা মানুষের থেকে শারীরিক গুণে ভিন্ন, তার মানে তাদেরকে মানুষের সাথে তুলনা করা (মানুষকে মানদণ্ড চিন্তা করে) সেটার ব্যাপারে দ্বিমত আছে। ডলফিন, শিম্পাঞ্জী, কাক, শিয়াল, পিঁপড়া এরা সবাই নিজেদের গুণে বুদ্ধিমান।
ভাষা স্বজাতিদের সাথে মনের ভাব প্রকাশের একটা মাধ্যম আর এই গুণও প্রাণীদের মধ্যে আছে। তাদেরকে বোবা জাত বলা ভুল হবে।
বিঃদ্রঃ ভিডিও গুলো এখানে শুধুমাত্র আমার ব্লগ সাজানোর জন্য দেইনি, বরং সঠিকভাবে উপস্থাপিত ও রেফারেন্স অনুসৃত তথ্য আপনাদের কাছে তুলে ধরার জন্য দিয়েছি। আপনারা চাইলে ভিডিওগুলোর ইউটিউব লিঙ্ক এ গিয়ে সেগুলোর description অংশ থেকে সম্পৃক্ত রেফারেন্সগুলো পেয়ে যাবেন। আর অবশ্যই বিবর্তন নিয়ে আপনার প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে করবেন। সবার সহযোগিতায় আমরা সঠিক জ্ঞানকে আলিঙ্গন করবো, সেই আশাই রইলো। ধন্যবাদ সবাইকে।
No comments:
Post a Comment